র্যাবের অভিযানে অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার ও আটক ৩
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অভিযান চালিয়ে পাবনা থেকে নিখোঁজ হওয়া দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উদ্ধার সহ তিনজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম।
শনিবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার চাতুরী এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের হাটহাজারী ক্যাম্প সিপিসি-২ এর একটি অভিযানিক দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
আটককৃত ব্যক্তিদ্বয় পাবনা সদর উপজেলার উত্তর কোমরপুর এলাকার মৃত মঈনুদ্দিন কাজীর পুত্র মোঃ ইউনুস কাজী (৪৫) ও তার পুত্র ইসমাইল কাজী (১৯), এবং গ্রেফতারকৃত ইউনুস কাজীর আপন ভাই আব্দুল মান্নান কাজী বলে জানাগেছে।
র্যাব সূত্রে জানাযায়, পাবনা সদর উপজেলার উত্তর কোমরপুর এলাকার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে (১৬)কে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হলে গ্রেফতারকৃত আসামী ইসমাইল কাজী জোরপূর্বক অপহরণ করে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়, পরে ইসমাইলের বাবা ইউনুস কাজী ও চাচা আব্দুল মান্নান কাজী ওই আত্মীয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সবাই মিলে পরামর্শ করে ভিকটিমকে নিয়ে আনোয়ারার চাতুরী এলাকায় আত্মগোপন করে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
আরো জানাযায়, স্কুলে ও প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে আসামীপক্ষের বাড়ীর সামনে দিয়ে যাতায়াতের সময় অপহৃত ভিকটিমকে গ্রেফতারকৃত আসামী ইসমাইল কাজী প্রেমের ফাঁদে ফেলার জন্য বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে বিরক্ত করতো।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভিকটিমের বাবা শফিকুল ইসলাম স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, পরে তার নিখোঁজ নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে, একপর্যায়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা স্বীকার করে যে, ইসমাইল কাজী দীর্ঘদিন যাবৎ অপহৃত ভিকটিমকে স্কুলে যাতায়াতের পথে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে ও প্রলোভন দেখাতো, একপর্যায়ে সেইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামীর বাড়ীর সামনে হতে জোরপূর্বক অপহরণ করে ইসমাইলের এক আত্বীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার বাবা ও চাচা উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে নিয়ে আনোয়ারা এলাকায় আত্মগোপন করে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব-৭ চট্টগ্রাম।