Sherpur Agricultural Training Institute: জ্বরে আক্রান্ত শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের আবাসিক হোস্টেলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী
শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের আবাসিক হোস্টেলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। আবাসিক হোস্টেলের ১২০ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬০/৭০ জনই জ্বর এবং ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বাদ যায়নি আবাসিক হোস্টেলের ছাত্রীরাও। ৮০ জন ছাত্রীর মধ্যে ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ছাত্রী। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অনেক শিক্ষার্থী হোস্টেল ছেড়ে চলে গেছে। এখনো যারা হোস্টেলে অবস্থান করছেন তারাও এ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকলেও হোস্টেল কতৃপক্ষের কাছে এখন পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীরা জানান, হোস্টেলে থাকা অসুস্থ্য শিক্ষার্থীদের সবশেষ খোঁজ খবর নিতেও আসেননি কেউ। তাছাড়া অসুস্থদের চিকিৎসা সহয়তার বিষয়েও কলেজ বা হোস্টেল কতৃপক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এব্যাপারে হোস্টেল সুপার শাহিন রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বললে, "ইনস্টিটিউটের আবাসিক হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। আমরা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি বিষয়টি দেখার জন্য।" তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, হোস্টেলের শিক্ষার্থীদেরকে ছুটি দেওয়া হবে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, "শিক্ষার্থীদের ছুটির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই ছুটির ব্যবস্থা করা হবে।" হোস্টেলের সকল শিক্ষার্থী কোভিড-১৯ এর টিকা নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "হোস্টেলের সকল শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহনের তথ্য গুলো আমাদের কাছে নেই। তবে ইতিমধ্যেই হোস্টেলের সকল শিক্ষার্থীকে করোনা টেস্ট করার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছ।"
এদিকে জেলায় করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। তন্মধ্যে সদর উপজেলার ২ ২ জন, শ্রীবরদী উপজেলার ৫ জন, নকলা উপজেলার ৩ জন ঝিনাইগাতী উপজেলার ৩ জন ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ১ জন রয়েছেন।