UP election: ইউপি নির্বাচনে কেন বিদ্রোহীদের কাছে নৌকার হার?
সারা দেশ জুড়ে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের শেষের দিকের নির্বাচন গুলোতে নৌকা প্রতীক নিয়ে ব্যাপক ভরাডুবি হচ্ছে। এর কারন কি শুধুই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নাকি অন্যকিছু? ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রথম তিন দফার নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও ব্যাপক প্রাণ হানীর ঘটনা প্রমান করে যে নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে?
প্রথম তিন দফার নির্বাচনী পরিবেশ দেখে মনে হয়েছে দেশে নির্বাচন নিয়ে একই দলের মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে যেন এক অঘোষিত যুদ্ধ চলছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের আশংকা জনক ভাবে হারের ঘটনা ও আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের বেশ ভাবিয়ে তুলেছে।আওয়ামী লীগের তৃনমুল থেকে প্রশ্ন উঠেছে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির ঘটনা ঘটছে।কিন্তু প্রশ্ন হলো প্রার্থী নির্বাচনে অনিয়মে ঠিক কারা জড়িত?
জেলা থেকে দলীয় মনোনয়নের জন্য যাদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে তাদের থেকেই কেন্দ্র দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে।স্বভাবতই কেন্দ্র থেকে অনিয়মের প্রশ্নই ওঠেনা।কিন্ত জেলা থেকেই যদি অজনপ্রিয় অগ্রহণযোগ্য প্রার্থী মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে নাম দিয়ে থাকে তার দায়ভার তো জেলার উপরেই বর্তায়?রাজবাড়ি সদর উপজেলার একটি ইউনিয়নে যিনি গতবার তিন হাজারের ও বেশী ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারি ভাবে গত পাঁচ বছরে একাধিক রাষ্ট্র সফর করেছেন অপ্রত্যাশিত ভাবেই এবার তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন।আর যিনি এবারের নির্বাচনে নৌকা পেয়েছেন তিনি তিন হাজারের ও বেশী ভোটের ব্যবধানে অপেক্ষাকৃত এক বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন।দেশ জুড়ে এমন ঘটনা অনেক রয়েছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী পোস্টারে যে ভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উল্লেখ করছেন পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ও জনগনের মনোনীত প্রার্থী উল্লেখ করছেন। সারা দেশ জুড়ে এটা যথার্থই প্রমাণিত হয়েছে যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা যেখানে বিএনপির লোকদের কেন্দ্রে এনে ভোট দেয়াতে পারছেন সেখানেই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে হেরে যাচ্ছেন।গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর এক রিকশা চালক কে বললো শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ থেকে একজনকে নৌকা দেয়ার পরে ও যদি প্রার্থীতা উম্মুক্ত করে দিত এবং অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতো সারা দেশে বিশ ভাগ ইউনিয়নে ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিততে পারতো কিনা সন্দেহ ছিল? একটা ইউনিয়ন জুড়ে মাত্র ১২০ বা ১২৫ ভোট পাওয়া তো তাই প্রমান করে?
নির্বাচনী প্রচারনার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পেছনে এতো এতো লোক দেখা যায় আর ভোটের দিনে তারা বড় ব্যবধানে হেরে যায় কেন হেরে যায় আর কি কারনে হেরে যায় তা আমরাও জানি।কিন্তু বলতে পারিনা।কারন বললে শুধু বিপদ নয় মহা বিপদ!