Abrar's murder: বঙ্গভবন পর্যন্ত আবরার হত্যার রায় বহাল থাকবে কি?
দেশে চলমান অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে সম্প্রতি সরকারের একটি সিন্ধান্ত ও বিচারিক আদালতে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ে জনগন সন্তুষ্টির ফেনা তুলেছে?এক সময়কার বিরোধী দল বিএনপির নেতারা ও দেশের চীফ এক্সিকিউটিভ কে অভিনন্দন জানাতে সময় নেননি।রাজনৈতিক সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক।শেষ পর্যন্ত নষ্টা ভ্রষ্টা মুরাদ দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন তাও আবার অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে মুখ লুকিয়ে?ক্ষমতার পাওয়ার মাথার উপর থেকে চলে গেলে আরো কতো মহারথী মুরাদের মতো মাথা নিচু করে মুখ লুকিয়ে দেশ ছাড়বেন কে জানে?
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায় হয়েছে তাতে ২০ জনের ফাঁসির আদেশ ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।দেশের নব্বই শতাংশ জনগন হয়তবা বিচারিক আদালতের রায়ে খুব খুশি হয়েছেন।আমার ছোটবোনকে তো দেখলাম ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।হয়তবা আরো অনেকেই তাদের অভিমত সোসাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন।কিন্তু আমরা যারা এ ধরনের ঘটনার খোজ খবর রাখি এবং এ ধরনের মামলার রায় গুলোর স্টেপ বাই স্টেপ দৃষ্টি রাখি সত্যি কথা বলতে কি আমরা আমজনতার মতো সন্তুষ্ট হতে পারিনা বরং আমরা আশংকায় থাকি এ রায় শেষ পর্যন্ত টিকবে তো?কারন আমাদের দেশের কালচার সে কথা বলে না?
জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুরান ঢাকার দর্জি বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার রায় আমাদের জন্য একটি উদাহরণ। প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্বজিৎ কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। কুপিয়ে হত্যার দৃশ্য ভিডিও করা হয়েছে অথচ মহামান্য হাইকোর্ট গিয়ে রায় পুরোপুরি টেকেনি?বিচারিক আদালতে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ৮ জনের ফাঁসির আাদেশ হয়েছিল কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টে ৬ জনই খালাস পেয়ে যান!বাকী ১৩ আসামী এখনো পলাতক।বুঝতেই পারছেন আমাদের দেশের পুলিশ সব ধরতে পারে কিন্তু বিশ্বজিৎ হত্যার আসামীদের এখনো ধরতে পারেনা?আমাদের আশংকা আমাদের প্রশ্ন এখানেই। আবরার হত্যা মামলার রায় কি বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার মতো হবে?হাইকোর্ট সুপ্রিম কোটের পরে তে আমাদের একটি মানবিক কোট আছে বঙ্গভবন!প্রশ্ন হলো বঙ্গভবন প্রর্যন্ত আবরার হত্যার রায় বহাল থাকবে কি?আজিজ আহমেদ সেনা প্রধান না হলে তার দন্ডিত পলাতক দুই ভাই হারিস আহমেদ ও সোহেল আহমেদ কি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেতেন?ক্ষমতার জন্যই যদি বঙ্গভবন থেকে ক্ষমা হয় তাহলে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে দেয়া সংবিধানের এই আইনটি বাতিল করা উচিত।
আবরার হত্যা মামলার রায়ে আরেকটি প্রশ্ন উঠে এসেছে। একজনকে খুন করলো ২৫ জন!কিন্তু এই ২৫ জনকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিল কতো জন? এই ২৫ জন কি নিজেরাই নিজেদের সিন্ধান্তে আবরারকে খুন করলো?কোন না কোন নেতার হুকুম ছাড়া কি ২৫ জন লোক মিলে আবরার কে খুন করেছে?কে বা কারা হুকুম করেছিল?কেন কেউ হুকুমের আসামী হলোনা?আই ও অফিসার কি কিছুই খুঁজে পান নি?মহামান্য হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট স্পর্শকাতর কোন মামলায় তদন্তে গাফিলতি বা অস্পষ্টতার জন্য উম্মা প্রকাশ করেন কিন্তু আই ও অফিসারের ব্যর্থতার জন্য কি কোন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন?আমার আশংকা যেন সত্য না হয় হয়তবা এই মামলাটি ও বিশ্বজিত হত্যা মামলার রায়ের পরিনতি বহন করতে পারে?