সামাজিক অবক্ষয়-এম. আর. সুমন
প্রত্যেকদিন দুই তিনটা পোস্ট চোখের সামনে আসে বিয়ের। পোলাপান আমাকেও বলতেছে বিয়ে করতে। আমি কিছুদিন আগেও বড় ভাইদের বলতাম ভাই বিয়ের দাওয়াত কবে পাব। তবে এখন আর বলিনা। সে বিয়ে করলে আমার কী লাভ? লাভ বা লস যা হবার সবই তার।
আজকে বিকেলে হল থেকে বেরিয়ে জব্বারে এসে দেখি বাকৃবি প্লাটফর্মে ফটোশেসন হচ্ছে নববধূর হলুদ ছোঁয়া। আমার সাথে থাকা লোকটাকে বললাম দেখছেন পৃথিবী কত পালটে গেছে। এক সময় বিয়ের কথা শুনলে মেয়েরা লজ্জায় ঘর থেকে বের হত না। ৪/৫ বছর আগেও এত অশ্লীলতা ছিল বলে মনে হয়না। এটাকে অশ্লীলতা বললাম কেন? ফটোগ্রাফার কী আপনার জামাই? রাস্তায় এসে মানুষের সামনে নির্লজ্জের মত বিভিন্ন এঙ্গেলে নিজেকে প্রদর্শন করে ছবি তুলতেছেন এটাকে আমি আর যাইহোক শ্লীলতা বলতে পারিনা।
যাকগে এগুলো একান্তই যারতার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ব্যক্তিগত ব্যাপারটা যখন সমাজের উপর প্রভাব ফেলে তখনই ইহা সমস্যার হয় এবং আর ব্যক্তিগত থাকেনা।
অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ। সেজন্যেই ওভার স্মার্টনেসকে আন্সমার্ট বলা হয়ে থাকে। আমি একজনকে নিয়ে লিখিনা পুরো সমাজের প্রতিচ্ছবি নিয়ে কথা বলি।
জন্মদিন পালন করে ডিমটোম দিয়ে এগুলো কী হচ্ছে, লুঙ্গি ড্যান্স পর্যন্ত বাকি নেই! আমার বুঝে আসেনা জন্মদিনের সাথে কোনদিক দিয়ে এগুলো সম্পৃক্ত?
আচ্ছা আমি যে আজ পর্যন্ত আমার এবং আমার পরিবারের কারোরই জন্মদিন পালন করিনি বলুনতো আমি কী ভিনগ্রহের প্রাণী হয়ে গেলাম কিনা? এ সমাজ কীভাবে আমাকে মেনে নিবে!
লেখাপড়া যেহেতু শেষের দিকে বিয়ের কথাবার্তা শুনা যাবে/যাচ্ছে বিভিন্নদিক থেকে বিভিন্নভাবে এটাই স্বাভাবিক। একজন সাহিত্যিক একদিন আমাকে বললেন সুমন ভাই সাহিত্যিকরা তাদের মত সাহিত্যিকপ্রিয় স্ত্রী পায়না। কয়েকদিন আগে একজন মজা করে একজায়গায় মেনশন দিয়ে বললেন সুমনের জন্য সাহিত্যপ্রিয় পাত্রী চাই।
সেজন্যে বলতে আসলাম আমি কোন সাহিত্যপ্রিয় মেয়েকে বিয়ে করবোনা। আমি চাই সে সম্পূর্ণ আমার উলটো হোক। তাকে জোর করে কবিতা যেন শুনাতে পারি। ভবিষ্যৎ অপরিকল্পিত, উপর থেকে কল্পিতভাবে সেটেল। ভবিষ্যত নিয়ে ভেবে আমার আপনার মাথা খারাপ করে লাভ আছে? যা হবে, যা আসবে সেটাকেই আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে। তাহলেই আপনি হতাশা মুক্ত।